সবার প্রিয় আন্তর্জাতিক খেলা ফুটবল

সব খেলাই প্রিয় তবে ফুটবল তার মধ্যে অন্যতম মাত্র ৯০ মিনিট এর খেলা খুবই অল্প সময়ে কম সময়ে প্রবল উত্তেজনা সবাইকে আবিষ্ট করে রাখে। এর মধ্যেই হার-জিত। হকি খেলাও কম সময়ের, কিন্তু ফুটবলের আছে নানা বৈচিত্র্য। আপনি হেড করে, পায়ের সামনে-পেছনে, ডানে-বাঁয়ে, পিঠে, হাঁটুতে, মাঠে হঠাৎ শুয়ে-পড়ে ব্যাক শট, কত ভাবেই না খেলতে পারেন।প্রতি মুহূর্তে আপনার প্রিয় খেলোয়াড় নতুন কিছু কারুকার্য দেখাতে পারেন। ফুটবলের মজা হলো মাত্র দেড় ঘণ্টায় এসপার-ওসপার হয়ে গেল। আরেকটি বড় ব্যাপার হলো, খেলার নিয়ম কানুন খুব সহজ। আসুন ফুটবল সম্পকে আরও কিছু তথ্য জানা যাক -


ফুটবল এর অর্থ কি?

ইংরেজি শব্দ ফুটবলের অর্থ হতে পারে বিভিন্ন দলের খেলার যে কোনো একটি (বা সেই সংশ্লিষ্ট খেলায় ব্যবহৃত বল ), শব্দটি ব্যবহার করা ব্যক্তির জাতীয় বা আঞ্চলিক উত্স এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে; ফুটবল শব্দের অযোগ্য ব্যবহার সাধারণত সেই অঞ্চলের ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় কোডকে বোঝায়।

ফুটবল খেলার নিয়মাবলী

ফুটবল খেলার নিয়মাবলী বা রেগুলেশন হল যেসব নিয়ম এবং শর্তাবলি যা খেলাটিতে অনুসরণ করা হয়। ফুটবল খেলা দেখতে এবং খেলতে সবাই কমবেশী ভালোবাসে। কিন্ত ফুটবল খেলার নিয়মকানুন না জানলে ফুটবল খেলাটা তেমন আকর্ষণীয় মনে নাই হতে পারে। ফুটবল খেলাকে বলা হয়ে থাকে 'দ্যা বিউটিফুল গেম'। ফুটবল খেলা ভালবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! জনপ্রিয় এই খেলা খেলার জন্য এবং দেখার জন্য হলেও আপনার ফুটবল খেলার নিয়ম জানা উচিত.

ফুটবল খেলায় কিক-অফ :






ফুটবল খেলার জন্য মাঠের মাঝখানে ১০ গজের বৃত্ত হলো সেন্টার সার্কেল। খেলা শুরু হওয়ার সময় এই বৃত্তের কেন্দ্র হতে কিক অফের মাধ্যমে খেলা শুরু হয়।এছাড়া প্রতিবার গোল হলে বিপক্ষ দল এই সেন্টার সার্কেল থেকে কিক অফের মাধ্যমে পুনরায় খেলা শুরু করে।

ফুটবল খেলায় থ্রো-ইন কি





যখন বল খেলার বাইরে চলে যায় টাচ-লাইন অতিক্রম করে পিচের পাশে, তখন ইচ্ছাকৃতভাবে বা দুর্ঘটনাবশত যে খেলোয়াড় বলটি শেষবার স্পর্শ করেছিল তার প্রতিপক্ষকে একটি থ্রো-ইন প্রদান করা হয়।

ফুটবল খেলায় কর্ণার কিক :



একটি কর্নার কিক দেওয়া হয় যখন শেষবার ডিফেন্ডিং দলের একজনকে স্পর্শ করে পুরো বল গোল লাইনের উপর দিয়ে যায়,মাটিতে বা বাতাসে কিন্ত গোলপোস্টের বাহিরে দিয়ে।আর যে পাশ দিয়ে বল গোল লাইন অতিক্রম করবে, সেই পাশের কর্নার এরিয়াতে বল রেখেই কর্নার কিক করতে হয়।

ফুটবল খেলায় ফাউল কি



প্রতিপক্ষকে লাথি মারা, গায়ের ওপর পড়ে যাওয়া, ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা, ট্যাকল করার সময় বলের আগে শরীরে আঘাত করা, ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল ধরা—মোটা দাগে এগুলোকেই ফাউল বলা হয়ে থাকে।

নিম্ন লিখিত কারণে ডাইরেক ফ্রি কিক দেওয়া হয়


বিপক্ষের খেলোয়াড়কে লাথি মারা বা লাথি মারা চেষ্টা।
বিপক্ষ দলের কাউকে ল্যাং মারা বা মারা চেষ্টা করা।
বিপক্ষের কোনো খেলোয়াড়ের উপরে লাফিয়ে পড়া।
বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে আক্রমণ বা চার্জ করা।
বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে আঘাত করা বা আঘাতের চেষ্টা করা।

ইনডাইরেক্ট ফ্রি কিক হওয়ার ৭ টি কারনে নিচে দেয়া হলো

গোল কিপার বল ধরার পরে,খেলার মাঠে বল নিক্ষেপ না করে যদি সেই বল ৬ সেকেন্ডর বেশি সময় ধরে রাখে।
গোল কিপার বল নিক্ষেপ করার পরে,সেই বল কেউ টাচ্ করার আগেই যদি একই গোল কিপার বলটি আবার ধরেন।
নিজ দলের কোনো খেলোয়ারের ইচ্ছাকৃত কিক করা বল যদি গোল কিপার ধরে বা টাচ্ করে।
নিজ দলের কোনো খেলোয়ারের থ্রো করা বল যদি গোল রক্ষক সরাসরি ধরে বা টাচ্ করে।
বিপজ্জনক ভাবে কেউ খেললে।
নিজে বল না খেলে, বিপক্ষ খেলোয়ারের সম্মুখগতিতে বাঁধা দিলে।
গোল রক্ষক বল নিক্ষেপ করার সময় তাকে বাধা দিলে।

ফুটবল খেলায় ফ্রি-কিক

ফাউলের জন্য ২ রকমের ফ্রি কিকের কথা জেনেছি। এখানে উল্লেখ্য যে ডাইরেক্ট ফ্রি কিক থেকে সরাসরি গোল হয়, কিন্তু ইন্ডাইরেক্ট থেকে সরাসরি গোল হবে না।

ফুটবল খেলায় পেনাল্টি কিক







একটি পেনাল্টি কিক (সাধারণত পেনাল্টি বা স্পট কিক নামে পরিচিত) হল অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলে খেলা পুনরায় শুরু করার একটি পদ্ধতি, যেখানে একজন খেলোয়াড়কে গোলে একটি শট নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় যখন এটি শুধুমাত্র প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক দ্বারা রক্ষা করা হয়।

ফুটবল খেলায় অফসাইড



আইনে বলা হয়েছে যে কোনও খেলোয়াড় অফসাইড অবস্থায় রয়েছে বলা হয়, যদি হাত ও বাহু বাদ দিয়ে, তার শরীরের কোনও অংশ, প্রতিপক্ষের অর্ধেক পিচের মধ্যে থাকে, এবং বল ও শেষ দুজন-প্রতিপক্ষ,- উভয়ের থেকেই সে প্রতিপক্ষের গোল লাইনের বেশি কাছাকাছি থাকে (শেষ প্রতিপক্ষ সাধারণত গোলরক্ষক হয়, তবে অপরিহার্যভাবে নয়)।

ফুটবল খেলার জন্ম কোথায়

প্রথম ফুটবল খেলা হয়েছিলো ১৯ শতকের মাঝামাঝি, ইংল্যান্ড ।
কাকে ফুটবলের রাজা বলা হত
পেলে (জন্মনাম এদসোঁ আরাঁচ দু নাসিমেঁতু) ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাচয়, মিনাস জেরাইসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দন্দিনহো এবং মাতার নাম সেলেস্তে আরাস। তার পিতাও একজন ফুটবলার ছিলেন ও ফ্লুমিনেস ফুটবল ক্লাবে খেলতেন।

ফুটবল বিশ্বকাপ এর জনক কে?

নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী (জন্ম: ২৭ আগস্ট ১৮৬৯ — মৃত্যু: ১৭ জানুয়ারি ১৯৪০) (ইংরেজি: Nagendra Prasad Sarbadhikari) ভারতে ফুটবল খেলার জনক ।

প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?

প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতে উরুগুয়ে। 1930 সালে মন্টেভিডিওতে FIFA প্রথমবারের মতো বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করে। মন্টেভিডিও উরুগুয়ের রাজধানী। উরুগুয়ে ছিল FIFA 1930 এর আয়োজক দেশ।

ফুটবল খেলার মাঠ কত মিটার?

সঠিক উত্তর হল 90 মি। খেলার আইন অনুসারে ফুটবল মাঠের সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য 90 মিটার এবং সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য 120 মিটার।

ফুটবলের ঈশবার কে

আধুনিক ফুটবলের 'জাদুকর' লিওনেল মেসিকে বহু ভক্ত 'ফুটবলের ঈশ্বর' বলে ডাকে।

বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে?

সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে সর্বজনীন ভাবে স্বীকৃত। পেলে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই মারাকানায়, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ২-১ ব্যবধানে হারা সেই ম্যাচে ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম গোল করে পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার স্থান দখল করেন।

ফুটবল খেলার জন্ম হয় কোথায়?

ফুটবল খেলার জন্ম চীনে কিন্তু আধুনিক বা মডার্ন ফুটবলের জন্ম হয়েছে ইংল্যান্ডে। চীন কখনো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি। ইংল্যান্ড ১৯৬৬ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাদ গ্রহণ করে পশ্চিম জার্মানি কে ৪-২ গোলে হারিয়ে ।

২০২৪ সালের ফুটবলের রাজা কে

জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১২:১২, ১৮ মার্চ ২০২৪ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। লিওনেল মেসি টানা চারবারসহ মোট আটবার ব্যালন ডি'অর জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, যা ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর পাশাপাশি তিনি সর্বোচ্চ ছয়বার ইউরোপীয় সোনালী জুতো জয়েরও কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

শেষ মন্তব্য 

আসসালামু আলাইকুম আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে এটা আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন.। তারাও যেন এ বিষয়ে জানতে পারে ও উপকৃত হতে পারে। এবং বিভিন্ন বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করুন  nafizit.com  এ ওয়েবসাইটে এখানে বিভিন্ন রকমের জ্ঞান মূলক আর্টিকেল লেখা আছে যা পড়ে আপনার বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন।এবং আপনাদের জ্ঞান-বিধিতে সাহায্য করবে। এবং আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি জানাবেন এ থেকে আমরা সেই ভুলটি সংশোধনের চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url