ফস্ট ফুড কেন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
ফাস্ট ফুড বা মুখরোচক খাবার যা আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করে থাকি কিন্তু এই ফাস্ট ফুড বা মুখরোচক আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য যে ক্ষতিকারক তা আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেরি অজানা । আজকে আমরা আলোচনা করবো ফাস্ট ফুডের উপকারিতা , অপকারিতা ও ফাস্ট ফুড আমাদের স্বাস্থ্যের কি কি ক্ষতি করে
ফস্ট ফুড কি
নামের মধ্যেই অথটা লুকিয়ে আছে যেসব খাবার চট-জলদি তৈরি ও পরিবেশন করা যায় ঐগুলোই ফাস্টফুড। এজন্য নগরীতে বিভিন্ন ধরনের অভিনব রেস্টুরেন্ট বা খাবার দোকান রয়েছে যেখানে কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী খুব সহজে তৈরিকৃত প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরি করে দেওয়া হয় তাকেই ফাস্টফুড বলে। যেমন: পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, চাওমিন ইত্যাদি ।
ফাস্ট ফুড কেন তৈরি করা হয়
বিপুল সংখ্যক ব্যস্ত যাত্রী, ভ্রমণকারী এবং মজুরি শ্রমিকদের মিটমাট করার জন্য একটি বাণিজ্যিক কৌশল হিসাবে ফাস্ট ফুড তৈরি করা হয়েছিল।
প্রতিদিন ফস্টফুড খেলে কি হয়
ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। উদ্বেগের বিষয় হল এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। যার ফলে ডায়াবেটিস, ওবেসিটি এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। চিকিৎসকরা বলছেন, ফাস্টফুডে সোডিয়াম ও চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে বেশি এবং খনিজ, প্রোটিন ও ফাইবারের মাত্রা কম ।
ফাস্টফুড ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়
অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষত, অন্ত্রের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা কয়েক দশক ধরে ফাস্ট ফুড খাচ্ছেন তাদের অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় বেশি। এটা উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতেও ফাস্টফুডের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। এটি অনেক মানুষের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
কী পরিমাণ ফাস্টফুড খেতে পারেন?
দিল্লির রাজীব গান্ধী ক্যানসার হাসপাতালের মেডিক্যাল অঙ্কোলজি বিভাগের এইচওডি ডা. বিনীত তলওয়ার জানান, ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়, তবে আপনি যদি এটি অল্প পরিমাণে খান তবে এটি খুব বেশি ক্ষতি করবে না। মানে মাসে একবার বা দুবার খেতে পারেন। এটি ক্ষতির কারণ হবে না, তবে এর থেকে বেশি খেলে স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
ফাস্টফুড খেলে কি কি ক্ষতি হয়
যখন জাঙ্ক ফুড খুব ঘন ঘন খাওয়া হয়, তখন জাঙ্ক ফুডে পাওয়া অতিরিক্ত চর্বি, সাধারণ কার্বোহাইড্রেট এবং প্রক্রিয়াজাত চিনি স্থূলতা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং অন্যান্য অনেক দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য অবস্থার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা, দাঁত ক্ষয়সহ খিটখিটে মেজাজ ও অনেকক্ষেত্রে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে হয়ে থাকে।
ফাস্ট ফুড শিল্প কত বড়
রিপোর্ট ওভারভিউ. 2021 সালে বিশ্বব্যাপী ফাস্ট-ফুড বাজারের আকার ছিল USD 595.93 বিলিয়ন এবং 2022 থেকে 2029 সাল পর্যন্ত 5.0% চক্রবৃদ্ধি হারে (CAGR) বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কেন ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট এত জনপ্রিয়
ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁগুলির পরিষেবার সুবিধা এবং গতি গ্রাহকদের আকৃষ্ট করেছে, কারণ তারা দ্রুত এবং সহজে খাবার সরবরাহ করে । দ্বিতীয়ত, ফাস্ট ফুড শিল্পের বিস্তৃতি গ্রাহকদের বিভিন্ন উপায়ে তাদের ক্ষুধা মেটানোর সুযোগ করে বেছে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন বিকল্পের দিকে পরিচালিত করেছে।
সমাজে ফাস্টফুডের প্রভাব?
ফাস্ট ফুডের উত্থান সমাজের উপর অসংখ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, জনস্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব থেকে শুরু করে পরিবেশের অবনতি এবং দরিদ্র শ্রম অনুশীলনে অবদান পর্যন্ত ।
ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করলে কি হয়?
দুই দিনের মধ্যে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে । আপনি কম মেজাজ, কম চাপ এবং কম উদ্বিগ্ন বোধ করতে পারেন তা ছাড়া আপনি এটি লক্ষ্য করবেন না। এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনি কম ফোলা অনুভব করছেন, সবচেয়ে লক্ষণীয়ভাবে আপনার মুখে, এবং আপনি প্রতি সপ্তাহে প্রায় 2lbs হারে অতিরিক্ত ওজন হারাবেন।
শেষ মন্তব্য
আসসালামু আলাইকুম আমাদের খাবার সম্পকিত পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে এটা আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন.। তারাও যেন এ বিষয়ে জানতে পারে ও উপকৃত হতে পারে। এবং বিভিন্ন বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করুন nafizit.com এ ওয়েবসাইটে এখানে বিভিন্ন রকমের জ্ঞান মূলক আর্টিকেল লেখা আছে যা পড়ে আপনার বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন। এবং আপনাদের জ্ঞান-বিধিতে সাহায্য করবে। এবং আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি জানাবেন এ থেকে আমরা সেই ভুলটি সংশোধনের চেষ্টা করব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url