এমপক্স কি ধরনের রোগ ? এটি কিভাবে ছড়ায়? এবং এর লক্ষণ গুলো কি কি ?
এম পক্স' বা 'মাংকি পক্স' রোগটি একটি ভাইরাস থেকে সংঘটিত হয়ে থাকে, যা মূলত অন্য প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়, তবে পরবর্তী সময়ে সংক্রমিত মানুষ থেকেও এই রোগটি অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আসুন জেনে নেই এমপক্স রোগ বা ভাইরাস কি? কিভাবে ছড়ায়? আর এর লক্ষণ কি কি ?
এমপক্স রোগ বা ভাইরাস কি?
এমপক্স (পূর্বে এটি মাংকিপক্স বা বাঁদরবসন্ত নামে পরিচিত ছিলো) বাঁদরবসন্ত ভাইরাস (MPXV) দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ যা মানুষ সহ কিছু প্রাণীর মধ্যে ঘটতে পারে। জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং ক্লান্ত বোধের মাধ্যমে লক্ষণগুলি শুরু হয়। এর পরে একটি ফুসকুঁড়ি হয় যা ফোস্কা গঠন করে এবং কঠিন আবরণ হয়।
এমপক্স রোগ কিভাবে ছড়ায়?
এম পক্স' বা 'মাংকি পক্স' রোগটি একটি ভাইরাস থেকে সংঘটিত হয়ে থাকে, যা মূলত অন্য প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়, তবে পরবর্তী সময়ে সংক্রমিত মানুষ থেকেও এই রোগটি অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এমপক্স রোগ এর লক্ষণ গুলো কি কি ?
জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং ক্লান্ত বোধের মাধ্যমে লক্ষণগুলি শুরু হয়। এর পরে একটি ফুসকুঁড়ি হয় যা ফোস্কা গঠন করে এবং কঠিন আবরণ হয়।
এম পক্স হলে করণীয় কি
এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই কর্মবিরতি নিয়ে বাড়িতে বিশ্রামে থাকতে হবে। রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য এটা অবশ্য করণীয়। ঘরে থাকা অবস্থায়ও মাস্ক পরিধান করা এবং ত্বকের শেষ চল্টাটি খসে পড়া পর্যন্ত ঘরে অন্তরীণ থাকাটা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য।
লক্ষণ দেখা দিলে যা করতে হবে
আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অথবা আক্রান্ত দেশ থেকে ফিরে আসার ২১ দিনের মধ্যে জ্বর এলে এবং ফুসকুড়ি দেখা দিলে—এমপক্স ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অতিদ্রুত স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইন ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সংক্রমণের কতদিনের মধ্যে ভালো হয়
সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।তবে ছোট শিশুসহ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য কিছু ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত মারাত্মক।এর আক্রমণের কারণে গুরুতর ক্ষেত্রে মুখ, চোখ এবং যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে ক্ষত তৈরি হতে পারে।
এমপক্সের চিকিৎসা
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এমপক্সের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। সরাসরি কোনো ওষুধ নেই এই রোগের। ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। তবে পরীক্ষামূলক কিছু ওষুধ আছে। রোগীকে আইসোলেশনে রেখে উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দিতে হবে। ফুসকুড়ি বা ফোসকার ব্যথা ও প্রদাহ কমানোর জন্য ব্যথার ওষুধ দিতে হবে, পুষ্টিকর খাবার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখতে হবে। জলবসন্তের রোগীর মতো করেই এমপক্সের রোগীর যত্ন নিতে হবে। রোগীর অবস্থা জটিল হলে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। যেহেতু এমপক্স ছোঁয়াচে তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে ভাইরাস না ছড়ায়।
এমপক্স বাংলাদেশের জন্য কতটা উদ্বেগের
মাঙ্কিপক্স বাংলাদেশের জন্য কতটা উদ্বেগের জানতে চাইলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যেভাবে ঘোষণা দিয়েছে, সে অনুযায়ী আমাদের এখনো মাঝারি ধরনের (মডারেট) উদ্বেগ রয়েছে।
সচেতনতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, বিশেষ করে হাত ধোয়ায় অভ্যাসে গুরুত্ব দিতে হবে। কারও যদি কোনো লক্ষণ দেওয়া দেয়, তাহলে সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবে এটা কোন ধরনের পক্স।
শেষ মন্তব্য
আসসালামু আলাইকুম আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে এটা আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন.। তারাও যেন এ বিষয়ে জানতে পারে ও উপকৃত হতে পারে। এবং বিভিন্ন বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করুন nafizit.com এ ওয়েবসাইটে এখানে বিভিন্ন রকমের জ্ঞান মূলক আর্টিকেল লেখা আছে যা পড়ে আপনার বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন।এবং আপনাদের জ্ঞান-বিধিতে সাহায্য করবে। এবং আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি জানাবেন এ থেকে আমরা সেই ভুলটি সংশোধনের চেষ্টা করব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url