ভিসা কিভাবে করতে হয় ,ভিসা করতে কি কি লাগে


ভিসা বা পাসপোর্ট কি ঃ

ভিসা হলো একটি অনুমতি পত্র যা একটি দেশ কোন বিদেশী নাগরিককে ঐ দেশে প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য দিয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া ভিন দেশে প্রবেশ ও অবস্থান অবৈধ অভিবাসন হিসাবে পরিগণিত। পাসপোর্ট একটি আইনী দলিল যা বিদেশে ভ্রমণ করতে হবে। পাসপোর্ট হলো আপনার পরিচয় পত্র যেটা অন্য দেশে গেলে আপনার পরিচয় বহন করবে।


ভিসা কিভাবে করতে হয় ঃ

ভিসা করার প্রক্রিয়া আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, গন্তব্য দেশ এবং আপনি কোন দেশের নাগরিক তার উপর নির্ভর করে থাকে।

সাধারণভাবে ভিসা করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:

প্রথম ধাপ: দেশ নির্বাচন 

প্রথমে আপনাকে স্থির করতে হবে কোন দেশের ভ্রমন করবেন সেটি। এরপর পরবর্তী ধাপের জন্য অগ্রসর হতে হবে। ভিসা করার প্রক্রিয়া এবং কাগজপত্র দেশ ও উদ্দেশ্য ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।

দ্বিতীয় ধাপ: ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন

দেশ সিলেক্ট করার পর ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। ভ্রমণ, ব্যবসায়, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি কারণে সাধারণত অস্থায়ী ভিসা করা হয়। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, মেডিকেল ভিসা, ভিজিট ভিসা ইত্যাদি। যদি আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান তাহলে অভিবাসী ভিসা করতে হবে। এছাড়া কাজের উদ্দেশ্যে বা চাকরির উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করা যায়।

তৃতীয় ধাপ: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ

এই ধাপে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এজন্য প্রথমে দেশ এবং ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে নিতে হবে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আলাদা হয়ে থাকে। তবে কিছু আবশ্যিক কাগজপত্র রয়েছে যেগুলো সব ধরনের ভিসার জন্য প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ:বৈধ পাসপোর্ট, ছবি, ভিসা আবেদন ফর্ম, আবেদন ফি ইত্যাদি। এজন্য আপনাকে জানতে হবে ভিসা করতে কি কি লাগে। যেটা সম্পর্কে আমরা শুরুতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

চতুর্থ ধাপ: ভিসা আবেদন

ভিসা আবেদন অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবে করা যায়। যে দেশে যেতে চান সে দেশের সরকারি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইন ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। অফলাইনে দূতাবাসে গিয়ে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারেন। এজন্য অবশ্যই সেই দেশের ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এই ধাপটি সম্পন্ন করতে অবশ্যই অভিজ্ঞ লোকের শরণাপন্ন হবেন। প্রয়োজনে বিশ্বস্ত এজেন্সির সহায়তা নিবেন।

পঞ্চম ধাপ: সাক্ষাৎকার প্রদান 

কিছু কিছু দেশ ভিসা অনুমোদন প্রদানের পূর্বে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে থাকে। এজন্য আপনাকে উক্ত দেশের দূতাবাসে গিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়া লাগতে পারে। সাক্ষাৎকারের সময় সাধারণত আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা এবং আর্থিক সামর্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।

ষষ্ঠ ধাপ: কাঙ্খিত ভিসা সংগ্রহ

সাক্ষাৎকার প্রদানের পর ভিসা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অনুমোদন পেলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কাঙ্খিত ভিসাটি সংগ্রহ করতে পারবেন। ভিসা প্রসেসিং সময় দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে।

বাংলাদেশ এ ভিসা করতে কত টাকা লাগে ঃ

ভিসা ফি - বাংলাদেশের ভিসার জন্য ভিসা প্রদানের ফি ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে উপলব্ধ। পরিষেবা ফি - ₹ ৬৯৯.৫/- + কর পরিষেবা এবং বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার জন্য মোট ৮২৫ টাকা পরিষেবা ফি প্রযোজ্য।

ভিসা বের করতে কত দিন লাগে ঃ

যদিও ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করার জন্য কোন নির্দিষ্ট সমইয়সীমা নেই, কিন্তু এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট ধরণের ভিসা ইস্যু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়, এবং সেক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগতে পারে।

ভিসা কত প্রকার ও কি কি ঃ 

পৃথক ভিসার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা
1 এমপ্লয়মেন্ট ভিসা
2 বিজনেস ভিসা
3 প্রজেক্ট ভিসা
4 প্রবেশ/"X" ভিসা
5 টুরিস্ট ভিসা 

বাংলাদাশের পাসপোর্ট কত প্রকার ঃ 

বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে তিন ধরনের পাসপোর্ট প্রদান করে থাকে। এগুলি কূটনৈতিক, দাপ্তরিক এবং নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ, যেমন অবকাশ, পড়াশোনা, ব্যবসায়িক ভ্রমণ ইত্যাদির জন্য বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়।

কত বছর বয়স হলে পাসপোর্ট করা যায় ঃ

১৮ বছরের কম বয়সী আবেদনকারীর ই-পাসপোর্ট ফর্ম পূরণের সময় পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এবং পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছায়ালিপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্ট ফর্ম পূরণের সময় অবশ্যই বর্তমান ঠিকানা হিসেবে পর্তুগালের ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে।


ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে ঃ 

ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সময় ৬ মাস মেয়াদসহ মূল পাসপোর্টে কমপক্ষে দু'টি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। পাসপোর্টের কপি(প্রথম ৪ পাতা এবং মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন যদি থাকে) সঙ্গে দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে পুরোনো সব পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।

শেষ মন্তব্য ঃ 

আসসালামু আলাইকুম আশা করছি, ভিসা কিভাবে করতে হবে এবং ভিসা করতে কি কি লাগে জেনে উপকৃত হয়েছে। এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ার পরেও যদি কোন ধরনের জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।অথবা ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে nafizit.com অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। পরিশেষে, আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url