বাত ব্যাথা সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান
বাত ব্যাথা বতর্মান সময়ে খুবই আলোচিত একটি বিষয় এবং বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা । আমরা এখন জানবো বাত ব্যাথা আসলে কি ? কেন হয়? লক্ষণ কী কী ? এবং বাত ব্যাথার সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান কী ?
বাত ব্যাথা কী ঃ
বাত ব্যাথা বলতে আমরা সাধারণত জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা , হাত পা ফুলে যাওয়া বা সমস্ত শরীরে ব্যাথা করা । বাত ব্যাথা অনেক ধরনের আছে তবে শরীরের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখে তা চিহ্নিত করা হয় ।
বাত ব্যাথার লক্ষণ সমূহ ঃ
বাত ব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো: গিটে ব্যথা, গিট ফুলে যাওয়া, হাত-পা নাড়তে সমস্যা। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার পর গিটে জ্যাম জ্যাম লাগা। এছাড়া স্কিনে রেশ আসা, মাথার চুল পড়ে যাওয়া, মুখের ভেতর ঘা হওয়া, হাত-পা জিম জিম করা ও চোখ লাল হয়ে যায়। সাধারণত এ ধরনের লক্ষণগুলো দেখা যায়।
বাত ব্যাথা কেন হয় ঃ
অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিড জমা হয়ে এ রোগের উৎপত্তি হয়। রোগটি প্রতিরোধে চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যাভাস ও জীবনযাপনে আদর্শ মানের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। বাত ব্যথাকে মেডিকেলের ভাষায় বলে রিউমাটোলজি। এ রিউমাটোলজির অন্তর্গত একটি বিষয় হলো বাত ব্যথা ।
বাত ব্যাথার প্রাকৃতিক ঔষধ ঃ
কিছু বাতের ব্যথা প্রাকৃতিক ঔষধ হলো:
নির্গুণ্ডি তেল (Nirgundi Oil) : নির্গুণ্ডি তেল বাতের ব্যথা সামান্য করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এটি ত্বকে মালিশ করা যায়, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
জলজীরণ কষায় (Jaljira Kadha) : বাতের ব্যথা জলজীরণ কষায় অনুমোদিত করতে পারে। এই কষায়ে ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয় বাতাসা, জিরা, ধনিয়া ইত্যাদি মসলা সহিত গুণকারী উদ্ভিদের মিশ্রণ।
অজওয়ান কষায় (Ajwain Kadha) : অজওয়ান বাত দূর করার জন্য উপযুক্ত। এটি মুখ্যভাবে বাতাসা সমস্যা এবং এর প্রাকৃতিক চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাত ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় ঃ
১. আদা চা : ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। চিন্তা নেই। পানিতে আদা কুচি, চা পাতা দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে ফুটিয়ে সেই চা পান করুন। দুধ দিয়েও আদা চা করে খেতে পারেন।
২.ঘরোয়া মিশ্রণ : ব্যথা কমাতে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন একটা সহজ মিশ্রণ।কয়েক চামচ মরিচ গুড়োর সঙ্গে ২-৩ চামচ অলিভ তেল। এটা অনেক প্রাচীন দেশজ পদ্ধতি। এই মিশ্রণ লাগানোর পর প্রথমে খুব জ্বালা হবে, কিন্তু ধীরে ধীরে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা অনেক কমে যাবে।
৩. নিজের হাতে বাসন ধোবেন : হাতের ব্যথায় নাকাল হচ্ছেন? আজ থেকেই নিজের হাতে বাসন ধুতে শুরু করুন। অদ্ভুত লাগলেও, এই পদ্ধতিতে আপনার হাতের ব্যায়াম হবে। আরও ভাল হয় যদি, উষ্ণ গরম পানিতে এই কাজ করেন। এতে হাতের জড়তা অনেক কেটে যাবে।
৪.গ্রিন টি : কেস ওয়েস্টার্ন রিসার্ভ ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনে চার কাপ গ্রিন টি বাতের ব্যথা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। চায়ের মধ্যে রয়েছে, পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ব্যথা ও পেশি বাত, অস্টিওআর্থারাইটিস কমাতে সাহায্য করে।
৫.ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড : রুই, টুনা, স্যামন মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড পেশির শক্তি বাড়ায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, সপ্তাহে খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণ টাটকা মাছ রাখুন। এতে পেশি ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমবে।
৫.ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড : রুই, টুনা, স্যামন মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড পেশির শক্তি বাড়ায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, সপ্তাহে খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণ টাটকা মাছ রাখুন। এতে পেশি ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমবে।
শেষ মন্তব্য ঃ
আসসালামু আলাইকুম আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে এটা আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন.। তারাও যেন এ বিষয়ে জানতে পারে ও উপকৃত হতে পারে। এবং বিভিন্ন বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করুন nafizit.com এ ওয়েবসাইটে এখানে বিভিন্ন রকমের জ্ঞান মূলক আর্টিকেল লেখা আছে যা পড়ে আপনার বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন।এবং আপনাদের জ্ঞান-বিধিতে সাহায্য করবে। এবং আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি জানাবেন এ থেকে আমরা সেই ভুলটি সংশোধনের চেষ্টা করব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url