দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরার ব্যবহার করার ১০ টা উপায় -
অ্যালোভেরা সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। অ্যালোভেরা তার বৈশিষ্ট্যের জন্য খুবই জনপ্রিয়। আসুন অ্যালোভেরা সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করি।
আমরা এখন জানব:
১. ঘৃতকুমারীর পুষ্টিকর উপাদান এবং খনিজ কি কি?
ভিটামিন এ (বিটা-ক্যারোটিন), সি, ই, ফলিক অ্যাসিড এবং কোলিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ অল্প পরিমাণে খনিজ রয়েছে যা ফ্রি র্যাডিকেল গুলির সাথে লড়াই করে এবং শরীরের জন্য উপকারী। দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরার ব্যবহার করার ১০ টা উপায়।
২. অ্যালোভেরার উপকারিতা কি কি?
(ক) আপনার ত্বকে অতিরিক্ত তেলের কারণে ব্রণ এবং ব্রণে সমস্যা দেখা দেয় । ব্রণের সমস্যা দূর করতে দিনে দুবার অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা ভালো, এতে ব্রণ ধীরে ধীরে কমে যায়।
(খ) ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য খুবই উপকারী অ্যালোভেরা জেল ত্বককে হাইড্রেট করে এবং পুষ্টি জোগায়, এটি রোদে পোড়া দাগ ও লালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করে, এছাড়াও এটি ত্বককে প্রশমিত করে এবং নিরাময় করে।
(গ) কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি রোগ যা নিয়ে সবাই চিন্তিত এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে প্রত্যেকেরই অ্যালোভেরার জুস পান করা উচিত এটি ব্যক্তিকে মলত্যাগ করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তবে নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করুন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন। . দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরার ব্যবহার করার ১০ টা উপায়।
(ঘ) ওজন কমাতে আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে প্রতিদিন অ্যালোভেরার জুস খাওয়া উচিত। অ্যালোভেরার জুসে রয়েছে খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চর্বি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
(ঙ) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় এই প্রাকৃতিক উপাদানটি প্রতিদিন খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে ছোট বড় কোন রোগই ধারে কাছে গিস্তে পারে না এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে যায়।
(চ) উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে শরীরে কোলেস্টেরল থাকা ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের কারণে নানা সমস্যা দেখা দেয় খারাপ কোলেস্টেরল হাডের ক্ষতি করে অতিরিক্ত অ্যালোভেরা ব্যাবহারে কোলেস্টেরলের মাত্র বাড়ে ।
(ছ) লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করে অনেক মহিলা অ্যানিমিয়াতে ভুগছেন এমন পরিস্থিতিতে অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
৩. অ্যালোভেরার অসুবিধাগুলি কী কী?
(ক) অ্যালোভেরা ব্যাবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় যদি একজন ব্যক্তি অ্যালোভেরার রস পান করতে চান, প্রথমে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন কারণ রস ক্ষতিকারক হতে পারে।
(খ) অ্যালোভেরা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং পাশাপাশি এটি কিডনির ক্ষতি করে।
(গ) গর্ভবতী মহিলাদের এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের অ্যালোভেরার জুস এড়ানো উচিত কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
(ঘ)অ্যালোভেরার রস বেশি পরিমাণে খাবেন না কেবলমাত্র ডোজ হিসেবে নিবেন অন্যথায় ডায়রিয়া হতে পারে যদি অ্যালোভেরার ব্যবহারের কারণে যদি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, অবিলম্বে চিকিৎসার পরামর্শ নিন।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহারঃ
ঘৃতকুমারী তেল এবং ঘৃতকুমারী হেয়ার প্যাক চুল ঘন, কালো, লম্বা এবং চকচকে করতে বেশ উপকারী। চলুন দেখে নেই কীভাবে তৈরি করবেন অ্যালোভেরা তেল কিভাবে তৈরি করতে হয় এবং কি কি উপকরণ লাগে...
অ্যালোভেরা আমাদের চুল বাড়ার সাথে সাথে ঘন, কালো এবং মজবুত করে
যদি আপনার চুল পাতলা হয় তবে এটির ক্ষেত্রে খুব দরকারী হবে- দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরার ব্যবহার করার ১০ টা উপায় ।
উপকরণ:
একটি অ্যালোভেরা পাতা এবং আধা কাপ নারকেল তেল
পদ্ধতি:
অ্যালোভেরার পাতা সমান দুই ভাগে কেটে ভিতর থেকে সমস্ত জুস বের করে নিন , একটি পাত্রে নারিকেল তেল গরম করে নিন ,তেল গরম হয়ে গেলে আচ কমিয়ে সাবধানে অ্যালোভেরা জুস বা জেল তেলে ঢালুন । এবার ৫ থকে ৭ মিনিট ক্রমাগত তেল নারতে থাকুন দেখবেন অ্যালোভেরা জেল তেলের সাথে মিসে গেছে । তেল ঠান্ডা হলে একটি পরিষ্কার পাত্রে পুরে রাখুন । এই তেল ২ সপ্তাহ পযন্ত ভালো থাকবে , প্রতিদিন রাতে শুবার সময় পরিমাণ মত তেল একটি বাটিতে ডেলে গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করোন। দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরার ব্যবহার করার ১০ টা উপায় ।
গরমে ত্বকের যত্ন অ্যালোভেরাঃ
সূর্যের চোখ রাঙ্গানি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে তাই তো ঘরের বাইরে বের হলেই ত্বকের আবস্থা হয় নাজেহাল লাল হয়ে যাওয়া পুরা ভাব হওয়া কালচে ভাব হওয়া সাথে জ্বালা পুড়া তো আছেই । রোধ থেকে ফিরে একটু অ্যালোভেরা জেল মুখে মেখে নিতে পারেন এতে সামরিক ভাবে ত্বক ঠান্ডা থাকবে এবং লালচে ভাব কমে যাবে ।
অ্যালোভেরা যখন ময়েশ্চারাইজারঃ
ময়েশ্চারাইজার ক্রিম আপনার ত্বকে অবশ্যই ব্যাবহার করা উচিৎ তবে আপনার ত্বক ভালো রাখতে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম এর পরিবতে অ্যালোভেরা জেল ব্যাবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে । অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে তাই ত্বক থাকে ভালো ,গরমে তাই অ্যালোভেরা জেল বেশ উপযুগী । দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরার ব্যবহার করার ১০ টা উপায় ।
যেভাবে ব্যাবহার করবেনঃ
অ্যালোভেরা থেকে জেলটা বের করে নিন,জেলটা ভালো ভাবে ব্লান্ড করে নিন এবার এর মধ্যে মিশিয়ে নিন ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল সামান্য পরিমাণে গোলাপ জল মিশাতে পারেন এই মিশ্রণ ত্বকে প্রয়োগ করন । এছাড়া অ্যালোভেরা জেল আইস কিউব করে ফ্রিজ এ রাখতে পারেন রোধ থেকে ফিরে একটি আইস কিউব বের করে ত্বকে গসে নিন । দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরার ব্যবহার করার ১০ টা উপায় ।
শেষ মন্তব্যঃ
আসসালামু আলাইকুম এক কথায় বলা যায় অ্যালোভেরা খুবই উপকারী এবং নিত্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান যা শুধু চুল আর ত্বক নায় শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে । আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে এটা আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন.। তারাও যেন এ বিষয়ে জানতে পারে ও উপকৃত হতে পারে। এবং বিভিন্ন বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করুন https://wwwnafizit.com/এ ওয়েবসাইটে এখানে বিভিন্ন রকমের জ্ঞান মূলক আর্টিকেল লেখা আছে যা পড়ে আপনার বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন।এবং আপনাদের জ্ঞান-বিধিতে সাহায্য করবে। এবং আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি জানাবেন এ থেকে আমরা সেই ভুলটি সংশোধনের চেষ্টা করব এতখন ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
নাইস পোস্ট