সহজে মেদ কমানোর ১০ টি উপায়

দীর্ঘ দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে। এটির মধ্যে অন্যতম কারণ হলো আমাদের ওজন বাড়িয়ে তুলে। দুশ্চিন্তাগ্রস্তর ফলে  কলটিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। যা ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে ও রক্ত সুগারের ভারসামহীনতা তৈরি করতে সাহায্য করে।সহজে মেদ কমানোর ১০ টি উপায়  জানতে পারি।

ওজন কমিয়ে একটা পাতলা , মেদহীন শরীর পাওয়ার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কিন্তু আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নিলেও যেমন আমরা যদি ডায়েট অনুসরণ করে পেটের মেদ কমাতে পারি না। তখন আমরা প্রায়ই ভেঙে পড়ি। আমাদের দাঁড়ায় আর মনে হয় মেদ কমানো সম্ভব হবে না। কিন্তু এভাবে হাল ছেড়ে দেওয়ার মানে হয় না সহজে মেদ কমানোর ১০ টি উপায় রয়েছে।

ভূমিকা

ওজন কমানো অথবা মেদ কমানো আমাদের অনেকেরই আশা। আমাদের প্রায় অনেকের মেদ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তা করি। কিন্তু আমরা সহজে মেদ কমানোর ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানতে পারব।আমরা এখান থেকে আমরা কিভাবে খুব সহজে আমাদের মেদ কমাতে পারবো তো এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ 

তলপেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে উপযোগী উপায় হল উচ্চমাত্রার যে সকল খাবার রয়েছে যেমন প্রোটিন ও ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।এসব খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ঘাস খাওয়ানো হয় এমন গরুর মাংস,কারণ এ সকল প্রোটিন ও ফ্যাট যুক্ত খাবারের দিকে যদি আমরা মনোযোগ দিই, তাহলে মিষ্টি জাতীয় খাবারের দিকে আকর্ষণ কমে যাবে। তবে নিজের দেহকে খাদ্য বিপাক প্রক্রিয়ার জন্য সময় দিতে হবে এবং দুই খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে আমাদের বিভিন্ন কাজের মধ্যে ফ্যাট ঝরাতে হবে।

পানি পান করা   

আমাদের দিনের প্রচুর পানি পান করতে হবে। কারণ সুস্থ ও সরল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের শরীরে প্রচুর পানির প্রয়োজন। পানি আমাদের শরীরে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। পানি আমাদের ক্ষুধা ভাব নিয়ন্ত্রণ করে। এবং আমাদের শরীরে কে সতেজ রাখে।

দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখা

আমাদের মেদ কমাতে হলে আমাদের দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে। তার মধ্যে হলো এটি আমাদের ওজন বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘমেয়াদী দুশ্চিন্তা  গ্রস্ততার ফলে কোটি ছেলের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে যা আমাদের দেহে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। সেজন্য আমাদের সবসময় দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে।

খুদা অনুভব

আমাদের প্রায় সারাক্ষণ পেট ভরা রাখার প্রয়োজন নেই। সারাদিন একটু ক্ষুধা ভাব থাকাটা শরীরের জন্য ভালো। আমরা যদি বেশি ক্ষুধার্ত অনুভব করি তাহলে আমাদের বুঝতে হবে আমরা খুব অল্প পরিমাণে খেয়েছি। আর যদি সামান্য খুদার্থ হই, তাহলে আমাদের কিছু সময় ব্যায়াম করতে হবে। এতে আমাদের শরীরের ওজন কমে যাবে।

কি খেলে পেটের মেদ কমবে?

আমাদের পেটের মেদ কমাতে হলে শসা পালং শাক ঢেঁড়স লাউ বিভিন্ন শাক সবজির তালিকায় থাকতে হবে এতে আমাদের শরীরের মেদ কমবে ফলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল মেদ কমাতে আমাদের অনেকটাই সাহায্য করে। বিশেষ করে আপেল, কমলআ, আঙ্গুল ,লেবু ,পেঁপে ,মালটা ,টমেটো  মেদ কমাতেসাহায্য করে।

পেটের মেদ কমাতে দই খাওয়ার উপকারিতা

২৪ জন অতিরিক্ত প্রাপ্তবয়স্কদের ওজনের মধ্যে ৪৩ দিনের একটি গবেষণায় দেখতে পায়  প্রতিদিন কেউ যদি  আর ১০০ গ্রাম দই খায়  তাহলে তার মেদ কমে যায়।

সার্কিট ট্রেনিং এর মাধ্যমে মেদ কমানো

আমাদের শরীরের বেশি গঠন ও মেয়াদ কমানোর জন্য সার্কিট ট্রেনিং নেওয়া হয়। এর ট্রেনিংয়ে আমাদের প্রতি সপ্তাহে তিন দিন  করতে হবে। প্রতি সেকেন্ডে ১৫ বার করে কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে আমাদের। এক মিনিট পরে দড়ি লাফের মত ওয়ার্ম আপ করতে হবে। তাহলে আমাদের শরীরের মেদ কমে যাবে।

পেটের পিসির ব্যায়াম

আমাদের  ট মেয়ের খুব দ্রুত চর্বিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই আমাদের মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যায়াম করতে হয়। শুধু খাদ্য তালিকা কমালে হবে না পাশাপাশি আমাদের ব্যায়াম করতে হবে। তিনটি সেট লেগ  রেস করতে হবে। আমাদের হাতে কোনায় ভর করে৩০-৬০ সেকেন্ড থাকতে হবে।

আমাদের যে সকল খাবার সাবধান থাকতে হবে

আমাদের বুঝে শুনে খেতে হবে। ফল সবজি বেশি বেশি খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার না খেলে হবে না।
যে সকল খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে সে সকল খাবার আমরা এড়িয়ে চলব। এতে আমাদের শরীরের ফ্যাটের কাজ করে।এজন্য আমাদের ফ্যাট যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

অ্যালকোহল জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা 

অ্যালকোহল হলো একটি ক্ষতিকারক পদার্থ। যা আমাদের শরীরে পেটের কাজ করে। অ্যালকোহল থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। কেননা বেশি অ্যালকোহল খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। অ্যালকোহল পেটের আকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

কিভাবে ব্যায়াম ছাড়া আমরা পেটের চর্বি কমাবো

আমাদের প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবুর শরবত খেতে হবে এতে আমাদের পেটের চর্বির কমাতে সাহায্য করবে।  এক গ্লাস গরম পানিতে আমরা একটি অর্ধেক লেবু চিপে নেব এতে আমরা  এক চিমটি লবন মিশিয়ে নেব। এভাবে যদি আমরা প্রতিদিন সকালে এই শরবতটি পান করি তাহলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গুলিয়ে দিতে সাহায্য করবে।এখানে আমরা সহজে মেদ কমানোর ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানিয়েছি আমরা আরো জানবো। 

তলপেট এর মেদ কমাবো কিভাবে

আমাদের পেটের মেদ কমাতে হলে প্রথমেই দরকার ইতিবাচক মনোবল। কারণ আমরা খুব সহজে মেদ বাড়াতে পারলেও। খুব সহজে মেদ কমাতে পারি না। এর জন্য আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খেতে হবে এবং আমাদের প্রতিদিন বাড়তি ক্যালোরের ব্যায়াম করে খরচ করতে হবে। 

আমরা জেনেছি সহজে মেদ কমানোর ১০ টি উপায়। শরীরের যে কোন জায়গায় বিশেষ করে আমাদের পেটের ওজন বা মেদ কমানোর জন্য কোন ম্যাজিক নেই। আমরা  মেদ একদিনে কমাতে পারবো না। এটা আমাদের আগ্রহ নিয়ে করতে হবে। এরপর আমাদের যে সকল বিষয় খেয়াল রাখতে হবেঃ

  •  উচ্চমানের  আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
  •  আশ্রমৃত খাবার বেশি করে খেতে হবে যা আমাদের শরীরে ক্যালরি কমিয়ে পেট ভরে রাখে সাহায্য করবে।
  •  ফলের রস অথবা জুস জাতীয় কিছু না খেয়ে গোটা ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। যাতে আর সহ পুষ্টি গুনাগুন পাওয়া যায়।
  •  খাবারের পাশাপাশি আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাভাবিক পানি পান করতে হবে। তবে আমাদের ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর পর পানি পান করতে হবে।
  •  প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। এতে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। 

শেষ মন্তব্য

আসসালামু আলাইকুম আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে এটা আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন.। তারাও যেন এ বিষয়ে জানতে পারে ও উপকৃত হতে পারে। এবং বিভিন্ন বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করুন www.nafizit.com এ ওয়েবসাইটে এখানে বিভিন্ন রকমের জ্ঞান মূলক আর্টিকেল লেখা আছে যা পড়ে আপনার বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন।এবং আপনাদের জ্ঞান-বিধিতে সাহায্য করবে। এবং আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি জানাবেন এ থেকে আমরা সেই ভুলটি সংশোধনের চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url