ভ্যাপসা গরমে ত্বকের যত্ন

গরম গালে একপ্রকার ব্যবসা গরম পড়ে । গরমের সঙ্গে থাকা পরিবেশের আদ্রতার কারণে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় । গরমের সময় আমাদের ত্বক প্রায় সময়তে রূপ দেখা যায় আমাদের উচিত ত্বকের যত্ন নেওয়া । আবার গরমে পানি শূন্যতার কারণে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয় ত্বক সুস্থ হয়ে যায় পাশাপাশি উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়।
Join Our WhatsApp Group! href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgXDM9VhuKkCfkExH3SgQ_rgA39fNQfeUbCmOykdllROzXLBzJWOLXTs9T_3HgAtqi5rqxezWtOX_ebViRAp_GxfNFeJ1ay40RBEnYQY5Nz8POw02pZ9EtLC462cveMAwkUxq8jYQZGeXuCudRQaZPSj-GUlzO1Rr4JG5pGJVEjlUeg0m2FLeHy9cXZs3Vf/s259/images.jpeg">

পানি শূন্যতার কারণ প্রধানত একজন ব্যক্তি দৈনিক কি পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করেন কতটুকু পানি পান করেন এবং আবহাওয়ার ধরনের উপর । পানি শূন্যতা অথবা আমাদের শরীরের চোখের নিচে কালো দাগ দেখা যায় ও চোখের ক্লান্তি দৃশ্যমান হয় ।

ভূমিকা ঃ

গরমে আমাদের ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। এখানে গরমের দিনে কিভাবে নিজের ত্বক আমরা ভালো রাখবো এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে । এখানে আরো আলোচনা গরমে মেয়েদের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবে , ছেলেদের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবে , রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন,
গরমে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিব ?

গরমে ঘাম ও ধুলাবালিতে তোকে ময়লা জমে এবং নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় । কি থেকে রক্ষা পেতে আমাদের প্রকৃত ভেষজ ব্যবহার করতে হবে । ত্বকের জন্য যে প্যাক উপযোগী সেটা আমরা ব্যবহার করে তবে জেনে নিতে পারি । গরমের ত্বকের যত্ন অনেক পরামর্শ দিয়েছেন অনেক হরমোন পার্ব বিশেষজ্ঞর রা ।
 
গরমে আমরা মুখ ভেঙ্গে গেলে আমার মুখ ধুয়ে ফেলব । ডাক্তারের পরামর্শ ব্যবহৃত ফেস ওয়াশ সাবান আমরা ব্যবহার করব। এক্ষেত্রে আমাদের ত্বকে কোন ক্ষতি হবে না। বর্তমান সময়ে অনেক রকমের ক্রিম ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। যা আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

আমরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফেসওয়াশ অথবা সাবান দিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ বার নিজেদের ত্বক অর্থাৎ মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করব । এক্ষেত্রে আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত ও কালো হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিব ?

বর্তমানে বিভিন্ন সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত যেকোন ক্রিম আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এতে আমাদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য আমরা চেষ্টা করব ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফেসওয়াশ অথবা ক্রিম ব্যবহার করা। তা না হলে আমাদের ত্বকের সমস্যা হবে। আর যদি কেউ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যবহার করতে না পারি তাহলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমরা ত্বকের যত্ন নিতে পারি । তার নিচে আলোচনা করা হলো ঃ

মধুর প্যাকঃ মধু একটি উপকারী জিনিস । মধু ,কাঠবাদাম ও দুধের প্যাক খুবই কার্যকারী ত্বকের জন্য । এই তিনটি উপাদান মিশিয়ে পুরো ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় । এটি মৃত কোষ দূর করে ।

নিম পাতা :নিম পাতা ত্বকের জন্য খুব কার্যকরী একটি উপাদান । নিম পাতা , টক দই ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে এটা টকে লাগালে ত্বকের ভিতরে সুরক্ষা দিবে ও কালো দাগ দূর হবে ।এটা আমাদের ত্বকে২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে । তারপর সুন্দরভাবে দিয়ে ফেলতে হবে। এতে আমাদের ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

শসা :বছরের সব ঋতুতেই প্রায় শসা পাওয়া যায় । শসা ও আলু একসাথে ব্লেন্ড করে এর সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায় । ত্বকের কালো ছাপ অথবা কালো দাগ দূর হয়। তাই শসা ও আলুর ব্লেন্ড অনেক কার্যকরী ।

পেঁপে ঃ আমাদের ত্বকের জন্য পেঁপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল । পাকা পেঁপে আমরা যদি পেস্ট করে দুধের সঙ্গে মিশে আমাদের ত্বকে লাগাই তাহলে ত্বকের যেকোনো দাগ দূর হয়ে যাবে । কিন্তু পেঁপে এলার্জির কারণ হতে পারে । অনেকের এক্ষেত্রে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা এ বিষয়ে একটু লক্ষ্য রাখবেন ।

বাদামঃ 

কাঠবাদাম ও দুধ ত্বকের ময়েশ্চার করতে খুবই কার্যকরী উপাদান । কাঠবাদাম ব্লেন্ড করে এতে দুধ মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে সপ্তাহে দুই তিন দিন প্যাকটি লাগাতে হবে । ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে । এতে ত্বক নরম হবে । শুষ্ক ত্বকের জন্য এই কাঠবাদামের প্যাকটি খুবই উপকারী ।এভাবে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারি। ঘরোয়া পদ্ধতিতে আরো অনেকভাবে চোখের যত্ন নেওয়া যায় । কিন্তু আমরা সব বিষয়ে একটু সচেতন থাকবো। যেটা আমাদের জন্য ব্যবহারের উপযোগী নয় সেটা আমরা ব্যবহার করব না ।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য করনীয় ?

গরমের দিনে গরমের দিনে আমাদের প্রায় সবার ত্বক তৈলাক্ত দেখা যায় ।এজন্য আমাদের বেশি বেশি পানি খেতে হবে । যদি শরীরের কোন অংশে কালো দাগ থাকে তাহলে প্রতিদিন ওই জায়গাটা লেবু দিয়ে ঘষবেন। ত্বক বেশি তেল রাখতে হলে লেবুর রসের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে।

এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে । গরমে ত্বকের তেলতেলে ভাব সামলানো অনেক কঠিন হয়ে যায় । আরে জন্য দায়ী মূলত তাকে নিতে অবস্থানকারী সিবেসিয়াম গ্রন্থি । এটি আমাদের শরীরের চর্বি থেকে সিলাম বা তেল তৈরি করে । এই অতিরিক্ত তেল ত্বকের বাইরের ধুলো ময়লার সংস্পর্শে এসে ত্বকের কোরাস বা ছোট ছোট ছিদ্রকে বন্ধ করে দেয়। এ থেকে শুরু হয় ব্রণ বের হওয়া।

শেষ মন্তব্য

 আসসালামু আলাইকুম আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে এটা আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন.। তারাও যেন এ বিষয়ে সতর্ক হতে পারে ও উপকৃত হতে পারে। এবং  বিভিন্ন বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করুন www.nafizit.com  এ ওয়েবসাইটে এখানে বিভিন্ন রকমের জ্ঞান মূলক আর্টিকেল লেখা আছে যা পড়ে আপনার  বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন।

এবং আপনাদের জ্ঞান-বিধিতে সাহায্য করবে। আমাদের  আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি জানাবেন এ থেকে আমরা সেই  ভুলটি সংশোধনের চেষ্টা করব। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url